কিছু অনুভূতির কোনো নাম হয়না

হয়তো সেদিন ও তুমি আমি একসাথেই ছিলাম,সেই একত্রিত সত্তা ,সেই স্পর্শ,সেই প্রথম দেখা,প্রথম আলিঙ্গন,প্রথম কিছু শিহরণ,প্রথম কিছু দীর্ঘ চুমু,প্রথম কারো জন্য অশ্রু বিসর্জন।
সে সবে আমার নিত্য বিচরণ ঠেকাতে অনেক বেগ পেতে হলো......
আচ্ছা তুমি কেমন আছো?
তোমায় আমি ভালবাসতাম ,
তুমি ছাড়া সমস্ত মহাবিশ্ব এই অকাট্য সত্য মানে!
মাঝরাতে আগের মতো এখন আর তোমাতে
মত্ত হবার অভ্যাস বদলেছি,এখন সেখানে কবিতার বই,নাটক কিংবা উপন্যাস,
সেও মাসখানেক আগের কথা!
কী করে এতদিনের বন্ধন ভুলে যাওয়া যায় কেউ তোমার আমার কাছেই শিখুক।
তবুও! জানোতো? আমি একজন পাকা অভিনেত্রী।খুব সহজে সবটা লুকাতে পারি।
বালিশ এখন আর অশ্রু বিন্দুতে সিক্ত হয়না।তবু পুরনো অশ্রুদাগের মতো তুমি রয়ে গিয়েছো!
কতোজন এলো,
কতোজন গেলো,
কতো হলো ভালোবাসা আর আদিখ্যেতার বেচাকেনা!
তবুও তোমার স্মৃতি গুলোকে নিলামে উচ্চ দামেও বিকোতে পারিনি,কারণ তোমায় আমি নিজ ইচ্ছাতেই ধারণ করি।
সত্য কী জানো?
যতোটা ভালবাসতাম ঠিক ততোটাই ঘৃণা করি এখন তোমায়।
তোমার দেয়া অজস্র গালি গুলো নিঃশব্দে মাথায় ঘুরপাক খায়,
নিজেকে স্থির রাখার ব্যর্থ চেষ্টায় কবিতা হয়,গল্প হয়, কাল্পনিক নয় বাস্তব।
সকলে তা বোঝেনা!
আমাদের সেই সকল প্রথমের স্থানে এখন হাইপারবোলা,প্যারাবোলা আর ইলিপসের শীর্ষ,উৎকেন্দ্রিকতা কিংবা দিকাক্ষের সমীকরণের জায়গা ।তোমাকে ভোলার পূর্ণ উদ্যম প্রস্থুতিতে সম্ভাব্যতা এক ধরণের অজানা ভয় গিলিয়ে দেয়।
শ্বসনতন্ত্রের প্রত্যেকটা আলোড়ন মনে করিয়ে দেয় তোমার আদিম অস্তিত্ব!আমি তখন রিডক্স বিক্রিয়ার মাঝে জীবনের দৈত মানে খুঁজি .........হয়তো জারণ নয়তো বিজারণ!
এই পৃথিবীতে কিছু মানুষই থাকে বিজারক হয়ে নিরীহ ধাতুর মতো! সক্রিয় বিজারক হয়ে কেবল দানই করে যায়, আর নিজের ভেতর নিজের অজান্তেই পুষে রাখে দীর্ঘকালের হতাশা।
জীবনের শেষ রাত পর্যন্ত সে এই হতাশা নিজ কাঁধে বয়ে বেড়ায়!
নিজের স্ব ইচ্ছায়,
নিজের অজান্তে.........

Comments