সে এসেছিলো আজ প্রাতে.....
-তন্দ্রা....এই তন্দ্রা...
-কে! কে!
-আমি
-আমি কে?
-কন্ঠ ভুলে গিয়েছো?
-না
-জিজ্ঞেস করলে কেনো?
-শুনতে ইচ্ছে হলো
-ঘুমোচ্ছিলে?
-রাতে আমি ঘুমাই?
-না
-তাহলে জিজ্ঞেস করলে কেনো?
-শুনতে ইচ্ছে হলো।
-দেখতে পাচ্ছিনা।
-কী?
-তোমার চুল কী সেই আগের মতই বড়?
-জানোনা?
-না
-ধরবে?
-ইচ্ছে নেই।
-তোমার চুল না কাটবে বলেছিলে,দিব্যি বড়!
-মায়া পড়ে গিয়েছে।
-কার প্রতি?
-নিষেধের প্রতি।
-ভালো আছো?
-হ্যা
-সত্য বলো
-জানোনা?
-হুম
-তাহলে জিজ্ঞেস করলে কেনো?
-কতদিন বলোনা,"আমি ভালো নেই"।
-তুমি কে সেই আগের রুদ্র?
নাকি বদলে গিয়েছো?
-জানিনা
-আমায় মনে পড়ে?
-জানোনা?
-জানি
-তাহলে?
-কতোদিন কেউ বলেনা,"তন্দ্রা আমি সারাদিন তোমায় শুধু ভাবি"।
-তোমার তো পূজারীর অভাব হয়না।
-মর্ত্যলোকে দূর্গার শীব একজনই।
-তোমার ওষ্ঠ! এ কী দশা!
-আর কেউ ছুঁয়ে দেখিনি যে!
-আচ্ছা তোমার মনে আছে?
-আছে
-কী? বলতো?
-সেই জায়গাটা.....
-যেখানে আমাদের ওষ্ঠের সাথে ওষ্ঠের মিলন হতো,
গ্রীবার সাথে গ্রীবা,
হাতের সাথে হাত,
বক্ষের সাথে বক্ষ.....
-থাক।
-চাঁদ দেখো?ছাদে যাও?
-যাই
-নিষেধ করেছিলাম
-এখন কেউ বাধা দেয়না।
-বৃষ্টি হলে ভেঁজো?
-ভিজি
-রাতে?
-তাও
-পাগলী, তুমি বড্ড অগোছালো।
-কেউ গুছিয়েছিলো
-চলে গিয়েছে?
-অনেক আগে
-ফেরাওনি?
-ইচ্ছে হয়নি
-পাগলী
-হু
-শুকিয়ে গিয়েছো
-খেতে ভালো লাগে না
-কেউ খাইয়ে দেয়না?
-জানোনা?
-জানি
-জিজ্ঞেস করে শুনতে ইচ্ছে হলো যে আমায় তুমি ছাড়া কেউ খাইয়ে দেয়না?
-আহা! রেগো না।
-আসলে কেনো?
-তোমায় দেখতে
-মৃত?
-জীবিত
-তোমার আছে সংগীত
কয়েকখানা গীটার,
ছয়টা তার,
আমার?
-তোমার তুমি আছো
-আমার আমি নিঃশেষিত
-তুমি পূর্ণ করো
-সেখানে স্মৃতির আস্তরণ পড়েছে
-তুমিই সরে গিয়েছিলে, ভুলে যাবার দায়িত্ব তোমার তন্দ্রা।
-স্মৃতি যে আবর্জনা,সময়মত গন্ধ ছড়ায়
-সে গন্ধ না নিলেই হয়
-আমার যে আছে চোখ, একজোড়া ওষ্ঠ,
আছে চিবুক,
আছে গ্রীবা,
যেখানে তুমি লেগে আছো,
ওদের আমি বোকা বানাতে পারিনা।
-এটা তোমার
-কী এতে?
-তোমার অস্তিত্ব, চিঠিপত্তর।
-আমার গন্ধ পাও,শার্টে?
-হু
-কেমন?
-মরা লাশের মতন।
-মরে গিয়েছি?
-মেরেছি।
-ভালো
-ভালবাসি
-ভালবাসি
-ভালো থেকো
-ভালো আছি
-তন্দ্রা, এই ওঠ নাস্তার সময় হয়েছে।
-আসছি মা
হঠাৎ ই তন্দ্রা দেখে,খাটের পাশে একদলা কাগজ, হ্যা তার চিঠি!
-কে! কে!
-আমি
-আমি কে?
-কন্ঠ ভুলে গিয়েছো?
-না
-জিজ্ঞেস করলে কেনো?
-শুনতে ইচ্ছে হলো
-ঘুমোচ্ছিলে?
-রাতে আমি ঘুমাই?
-না
-তাহলে জিজ্ঞেস করলে কেনো?
-শুনতে ইচ্ছে হলো।
-দেখতে পাচ্ছিনা।
-কী?
-তোমার চুল কী সেই আগের মতই বড়?
-জানোনা?
-না
-ধরবে?
-ইচ্ছে নেই।
-তোমার চুল না কাটবে বলেছিলে,দিব্যি বড়!
-মায়া পড়ে গিয়েছে।
-কার প্রতি?
-নিষেধের প্রতি।
-ভালো আছো?
-হ্যা
-সত্য বলো
-জানোনা?
-হুম
-তাহলে জিজ্ঞেস করলে কেনো?
-কতদিন বলোনা,"আমি ভালো নেই"।
-তুমি কে সেই আগের রুদ্র?
নাকি বদলে গিয়েছো?
-জানিনা
-আমায় মনে পড়ে?
-জানোনা?
-জানি
-তাহলে?
-কতোদিন কেউ বলেনা,"তন্দ্রা আমি সারাদিন তোমায় শুধু ভাবি"।
-তোমার তো পূজারীর অভাব হয়না।
-মর্ত্যলোকে দূর্গার শীব একজনই।
-তোমার ওষ্ঠ! এ কী দশা!
-আর কেউ ছুঁয়ে দেখিনি যে!
-আচ্ছা তোমার মনে আছে?
-আছে
-কী? বলতো?
-সেই জায়গাটা.....
-যেখানে আমাদের ওষ্ঠের সাথে ওষ্ঠের মিলন হতো,
গ্রীবার সাথে গ্রীবা,
হাতের সাথে হাত,
বক্ষের সাথে বক্ষ.....
-থাক।
-চাঁদ দেখো?ছাদে যাও?
-যাই
-নিষেধ করেছিলাম
-এখন কেউ বাধা দেয়না।
-বৃষ্টি হলে ভেঁজো?
-ভিজি
-রাতে?
-তাও
-পাগলী, তুমি বড্ড অগোছালো।
-কেউ গুছিয়েছিলো
-চলে গিয়েছে?
-অনেক আগে
-ফেরাওনি?
-ইচ্ছে হয়নি
-পাগলী
-হু
-শুকিয়ে গিয়েছো
-খেতে ভালো লাগে না
-কেউ খাইয়ে দেয়না?
-জানোনা?
-জানি
-জিজ্ঞেস করে শুনতে ইচ্ছে হলো যে আমায় তুমি ছাড়া কেউ খাইয়ে দেয়না?
-আহা! রেগো না।
-আসলে কেনো?
-তোমায় দেখতে
-মৃত?
-জীবিত
-তোমার আছে সংগীত
কয়েকখানা গীটার,
ছয়টা তার,
আমার?
-তোমার তুমি আছো
-আমার আমি নিঃশেষিত
-তুমি পূর্ণ করো
-সেখানে স্মৃতির আস্তরণ পড়েছে
-তুমিই সরে গিয়েছিলে, ভুলে যাবার দায়িত্ব তোমার তন্দ্রা।
-স্মৃতি যে আবর্জনা,সময়মত গন্ধ ছড়ায়
-সে গন্ধ না নিলেই হয়
-আমার যে আছে চোখ, একজোড়া ওষ্ঠ,
আছে চিবুক,
আছে গ্রীবা,
যেখানে তুমি লেগে আছো,
ওদের আমি বোকা বানাতে পারিনা।
-এটা তোমার
-কী এতে?
-তোমার অস্তিত্ব, চিঠিপত্তর।
-আমার গন্ধ পাও,শার্টে?
-হু
-কেমন?
-মরা লাশের মতন।
-মরে গিয়েছি?
-মেরেছি।
-ভালো
-ভালবাসি
-ভালবাসি
-ভালো থেকো
-ভালো আছি
-তন্দ্রা, এই ওঠ নাস্তার সময় হয়েছে।
-আসছি মা
হঠাৎ ই তন্দ্রা দেখে,খাটের পাশে একদলা কাগজ, হ্যা তার চিঠি!
Comments
Post a Comment