ভালোবাসা না ডি.এস.এল.আর

প্রাচীন যুগ:ছেলেরা মেয়ে পটানোর জন্য
বাইক নিয়ে মেয়ের সামনে দিয়ে ঘুরাঘুরি
করতো,বাইক নিয়ে মেয়ের সামনে পাট
মারতো।বাইক নিয়ে মেয়ের পিছন পিছন
মেয়ের বাসা পযন্ত যেতো।
কিছু কিছু
মেয়ে ছিলো যারা ছেলেকে দেখার আগেই
দেখতো ছেলের বাইক আছে
কিনা??আবার এমন কিছু মেয়েও ছিল
যারা বাইক নাই দেইখা বয়ফ্রেন্ডকে ছেড়ে
দিছে।কেনোনা তাঁহারা বাইক ছাড়া ছেলের
সাথে প্রেম করতে পারেন না।
আর ছেলেরাও দেখলো যে মেয়ে পটানোর
জন্য এই বাইক নামক জিনিসটি ভালই
কাজ করে।
বতমান যুগ:বাইককে টাটা জানিয়ে সেই
জায়গা দখল করে নিলো ডি.এস.এল.আর
।ছেলে ছবি তুলতে জানুক আর না জানুক গলায়
একখান ডি.এস.এল.আর ঝুলাইয়া রাখা লাগবো।কারণ আজকাল নাকি এই বস্তুটি ছাড়া মেয়ে পাওয়া যায় না।আর কিছু মেয়েও আছে ডি.এস.এল.আর নামক
বস্তুটি দেইখা বান্দরের মতো লাফাইতে থাকে।কেনোনা বান্ধবীদের কাছে কইতে হবে না,যে আমার বয়ফ্রেন্ড একজন ফুটোগ্রাফার ।
আর ছেলেগুলাও সেই তথাকথিত গালফ্রেন্ডের জন্য বাবা মাকে প্রেসার দিয়া ডি.এস.এল.আর কিনে গলায় ঝুলাইয়া দেয়।
এখন সেইসব ছেলেদের কিছু বলতে চাই,যে মেয়ে বাইকের জন্য আজ তোমার সাথে আছে কাল হয়তো সেই মেয়েই অন্য কোনো কিছুর জন্য অন্য কারো কাছে যাবে।
তারপর আজ যে মেয়ের জন্য তুমি বাবা মাকে প্রেসার
দিয়া ক্যামেরা কিনতেছোএকবার কী ভেবে দেখেছো সেই
মেয়ে আসলেই কী ভালোবাসে তোমাকে??নাকি সে শুধু
ভালোবাসে তোমার ওই ডি.এস.এল.আর কে??
আর সেইসব মেয়েদের একটা কথাইবলতে চাই ,কোনোকিছুর জন্য কাউকে ছেড়ে চলে যেও
না।পারলে কারো জন্য কোনোকিছু ছেড়ে দাও।কেনোনা কোনোকিছু তোমার সাথে
সারাজীবন থাকবে না।কিন্তু কেউএকজন সারাজীবন তোমার সাথে থাকবে যদি তুমি
তাকে ধরে রাখতে পারো।

Comments

  1. ভাল লাগলো... লেখালেখিটা চালিয়ে যান...

    ReplyDelete

Post a Comment