একদা এক কচ্ছপ ও তার মহাকাল
হঠাৎ এক সকালে কচ্ছপের নিদ্রাভঙ্গ হয়।কচ্ছপ তার ছোট্ট মহাকালকে হাতে নিয়ে বাহিরের উদ্দেশ্যে যাত্রা করে।পথে তার প্রথম দেখা হয়,এক ব্যাঙের ছাতার সাথে।
-ওহে,তুমি যাচ্ছ কই মশাই?
-মহাকাল দর্শনে।
-তা কি করে!
-এইযে হাতে মোর মহাকাল।
ব্যাঙ বেচারা প্রস্থান করে,মনে মনে ভাবে কচ্ছপ হয় পাগল না হয় বয়স হয়েছে (!)
পথিমধ্যে দেখা হয় দীর্ঘদিন আগের বন্ধু কলাগাছের সাথে,
-শুনছিস?
-হ্যা বলো।
-ভাই আমার মরণের সময় এসেছে, আমায় ক্ষমা কর,দুঃসময়ে তোর পাশে থাকতে পারিনি।
-আমি কিচ্ছু মনে করিনি।
কচ্ছপ সামনে চলতে থাকে,সে দেখে বেশ আড়ম্বরি হালে আম গাছ স্নান করছে,
-ছ্যা,ছ্যা তোর গায়ে ময়লা!
-হা,জানি বটে।
-তুই জানিস ঘোড়ার ডিম।সূর্য অবগাহনে মঙ্গল হয়,নিচুঁ জাত তো।
-আজ্ঞে হ্যা,ধন্যবাদ।
কচ্ছপ চলে যায়।মুখে মৃদু হাসি নিয়ে।
খোলা মাঠে,বিস্তর আকাশের নিচে বসে কচ্ছপ তার মহাকাল খুলে বসে।মহাকাল বলে,
-বলো দেখি ব্যাঙের ছাতা কে?
-মূর্খ,যারা মহাকাল পড়ে না।
-সঠিক বলেছো বন্ধু।
-তুমি শিখিয়েছো।
-বলো দেখি কলাগাছ কে?
-দুধের মাছি,সুসময়ে উড়ে বেড়ায়।
-এবারো সঠিক হয়েছে বন্ধু।
-তোমার কৃপা।
-আম গাছের কথা বলো তবে?
-অল্পবিদ্যা ভয়ঙ্করী। এরা অহঙ্কারী।
-তুমি মহাকালের অন্যতম জ্ঞানী হে বন্ধু।
-তুমি আমার বন্ধু বলে।..
মহাকাল কচ্ছপের শেষ দিন পর্যন্ত সাথে ছিলো।
এবার আসুন ব্যাখ্যা করি।কিছু বুঝলেন কি?সাধারণ কিছু বলতে একটু নাটকিয়তা করে গল্পের আশ্রয় নিলাম।
কচ্ছপ আর কেউ নয়,এই পৃথিবীর বইপ্রেমী মানুষ।
ব্যাঙের ছাতা তারা যারা জীবনে একটি বারেও একটি বই ছুয়ে দেখার সামর্থ্য অর্জন করতে পারেনি।
কলাগাছ হচ্ছে আমাদের জীবনের সেই সব বন্ধু যারা সুসময়ে মৌ মৌ করে চারপাশে,প্রয়োজনে উধাও!
আর আম গাছ? সে আর কেউ নয়,অল্পবিদ্যা নিয়ে যারা অহঙ্কার করে।
আর মহাকাল হলো,বই, আমাদের পরম বন্ধু।যে আমাদের ইতিহাস জানায়, বন্ধুর মত পাশে থাকে। দুঃসময়ে আনন্দ দেয়,সে বই হাসায়,সে বই কাঁদায়।
মা,আমার বন্ধু রাশেদ,১৯৭১,মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস,আমি বীরাঙ্গনা, জোছনা ও জননীর গল্প আমাদের ইতিহাস শেখায়,বীর বাঙালীর বীরত্ব শেখায়।
মিসির আলিকে নিয়ে বই ক্ষুদ্র বিষয় সম্পর্কে ভাবতে শেখায়,আত্মজীবনী মূলক বই আমাদের প্রেরণা দেয়।
লা মিজারেবেল, সী,দা রির্টান অফ সী জাতীয় বই আমাদের জীবন শেখায়।চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে দেয় আবেগ কীভাবে প্রভাবিত করে।
রবীন্দ্রনাথের বই আমাদের প্রকৃতি দেখায়,চেনায়,কাজী নজরুলের বই শেখায় সত্য বলতে।
শরৎচন্দ্র থেকে আমরা জীবনের টানা পোড়েন দেখি,নিখাদ প্রেমের বিরহ বিচ্ছেদ দেখি।
হূমায়ুন আজাদের বই তসলিমার বই আমাদের প্রতিবাদ শেখায়,সাহসিকতা শেখায়।
আরো কত সহস্রাধিক বই আছে।এগুলো তো কেবল উদাহরণ।
বই আমাদের মহাকালের সাক্ষী হয়ে থাকে।বই মানুষ চেনায়,বই বন্ধু হয়ে পাশে থাকে,বই তার পাঠককে করে তোলে মহাকালের সাক্ষী।
পারস্যের এক কবি বলেছিলেন,"রূটি মদ ফুরিয়ে যাবে,প্রিয়ার কালো চোখ ঘোলাটে হয়ে যাবে,কিন্তু একখানা বই অনন্ত যৌবনা,যদি তেমন বই হয়।"
-ওহে,তুমি যাচ্ছ কই মশাই?
-মহাকাল দর্শনে।
-তা কি করে!
-এইযে হাতে মোর মহাকাল।
ব্যাঙ বেচারা প্রস্থান করে,মনে মনে ভাবে কচ্ছপ হয় পাগল না হয় বয়স হয়েছে (!)
পথিমধ্যে দেখা হয় দীর্ঘদিন আগের বন্ধু কলাগাছের সাথে,
-শুনছিস?
-হ্যা বলো।
-ভাই আমার মরণের সময় এসেছে, আমায় ক্ষমা কর,দুঃসময়ে তোর পাশে থাকতে পারিনি।
-আমি কিচ্ছু মনে করিনি।
কচ্ছপ সামনে চলতে থাকে,সে দেখে বেশ আড়ম্বরি হালে আম গাছ স্নান করছে,
-ছ্যা,ছ্যা তোর গায়ে ময়লা!
-হা,জানি বটে।
-তুই জানিস ঘোড়ার ডিম।সূর্য অবগাহনে মঙ্গল হয়,নিচুঁ জাত তো।
-আজ্ঞে হ্যা,ধন্যবাদ।
কচ্ছপ চলে যায়।মুখে মৃদু হাসি নিয়ে।
খোলা মাঠে,বিস্তর আকাশের নিচে বসে কচ্ছপ তার মহাকাল খুলে বসে।মহাকাল বলে,
-বলো দেখি ব্যাঙের ছাতা কে?
-মূর্খ,যারা মহাকাল পড়ে না।
-সঠিক বলেছো বন্ধু।
-তুমি শিখিয়েছো।
-বলো দেখি কলাগাছ কে?
-দুধের মাছি,সুসময়ে উড়ে বেড়ায়।
-এবারো সঠিক হয়েছে বন্ধু।
-তোমার কৃপা।
-আম গাছের কথা বলো তবে?
-অল্পবিদ্যা ভয়ঙ্করী। এরা অহঙ্কারী।
-তুমি মহাকালের অন্যতম জ্ঞানী হে বন্ধু।
-তুমি আমার বন্ধু বলে।..
মহাকাল কচ্ছপের শেষ দিন পর্যন্ত সাথে ছিলো।
এবার আসুন ব্যাখ্যা করি।কিছু বুঝলেন কি?সাধারণ কিছু বলতে একটু নাটকিয়তা করে গল্পের আশ্রয় নিলাম।
কচ্ছপ আর কেউ নয়,এই পৃথিবীর বইপ্রেমী মানুষ।
ব্যাঙের ছাতা তারা যারা জীবনে একটি বারেও একটি বই ছুয়ে দেখার সামর্থ্য অর্জন করতে পারেনি।
কলাগাছ হচ্ছে আমাদের জীবনের সেই সব বন্ধু যারা সুসময়ে মৌ মৌ করে চারপাশে,প্রয়োজনে উধাও!
আর আম গাছ? সে আর কেউ নয়,অল্পবিদ্যা নিয়ে যারা অহঙ্কার করে।
আর মহাকাল হলো,বই, আমাদের পরম বন্ধু।যে আমাদের ইতিহাস জানায়, বন্ধুর মত পাশে থাকে। দুঃসময়ে আনন্দ দেয়,সে বই হাসায়,সে বই কাঁদায়।
মা,আমার বন্ধু রাশেদ,১৯৭১,মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস,আমি বীরাঙ্গনা, জোছনা ও জননীর গল্প আমাদের ইতিহাস শেখায়,বীর বাঙালীর বীরত্ব শেখায়।
মিসির আলিকে নিয়ে বই ক্ষুদ্র বিষয় সম্পর্কে ভাবতে শেখায়,আত্মজীবনী মূলক বই আমাদের প্রেরণা দেয়।
লা মিজারেবেল, সী,দা রির্টান অফ সী জাতীয় বই আমাদের জীবন শেখায়।চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে দেয় আবেগ কীভাবে প্রভাবিত করে।
রবীন্দ্রনাথের বই আমাদের প্রকৃতি দেখায়,চেনায়,কাজী নজরুলের বই শেখায় সত্য বলতে।
শরৎচন্দ্র থেকে আমরা জীবনের টানা পোড়েন দেখি,নিখাদ প্রেমের বিরহ বিচ্ছেদ দেখি।
হূমায়ুন আজাদের বই তসলিমার বই আমাদের প্রতিবাদ শেখায়,সাহসিকতা শেখায়।
আরো কত সহস্রাধিক বই আছে।এগুলো তো কেবল উদাহরণ।
বই আমাদের মহাকালের সাক্ষী হয়ে থাকে।বই মানুষ চেনায়,বই বন্ধু হয়ে পাশে থাকে,বই তার পাঠককে করে তোলে মহাকালের সাক্ষী।
পারস্যের এক কবি বলেছিলেন,"রূটি মদ ফুরিয়ে যাবে,প্রিয়ার কালো চোখ ঘোলাটে হয়ে যাবে,কিন্তু একখানা বই অনন্ত যৌবনা,যদি তেমন বই হয়।"
Comments
Post a Comment