একটি বাস্তব প্রেমের ইতিবৃত্ত.....
যতদূর মনে পড়ে তখন আমি ছিলাম ধ্বংস বিধ্বস্ত একটি মেয়ে।আমার কথায় আমার আচরণে বিরাজ করতো রাজ্যের নির্লিপ্ততা।
আর তুমি হয়তো ছিলে জগতের যাবতীয় নিয়ম না
মানা পাঁড়মাতাল নাবালক। মাতলামো করেই হয়তো আমায় কিনেছিলে।
আমার অদ্ভুত আচরণ তুমি হাসতে,তুমি শিহরিত হতে,তুমি মাতলামো করতে,তুমি উগ্র হতে,দুর্বল হতে,তবু বলতে পারতেনা।মুখ ফুটে বলতে গেলে তোমার উপর ভর করতো রাজ্যের ভয়।সে ভয় পেরিয়ে একদিন আমার রাজ্যের অংশীদারিত্ব চেয়েছিলে,আমি "না" করেছিলাম।আমার রাজ্যে আমি কারো অনুপ্রবেশ মেনে নেইনা।
তবুও এ জগতের মেয়েদের পায়ে একধরনের শেকল বাধা থাকে,মায়ার শেকল।সেই শেকলে আমিও বাধা ছিলাম।আমার জগৎ তোমার সাথে ভাগ করে নিয়েছিলাম।
......তারপর কতদিন হয়েছে...তুমি আমায় তোমার চোখের সামনে জলজান্ত মানবী রূপে দেখোনি! ততদিনে তোমার মাতলামোকে শিকেয় তুলে দিয়েছি।তুমি তখন "ভাজা মাছ উল্টে না খেতে জানা এক নাবালক "।
প্রকৃতির খেলায় একদিন তুমি আমি সামনাসামনি এসেছিলাম।খোলা আকাশের তলে হাজার কপোত-কপোতির ভীরে দুই প্রেম উন্নাসিক দর্শক।তুমি বিশালদেহী,সুপুরুষ। আমি খর্বাকৃত বালিকা।আমাকে চোখ ভরে দেখতে মাথাকে নত করতে হয় তোমার।তবু তুমি দেখেছিলে।হৃদয় ভরে আমায় গ্রাস করেছিলে তোমার মাতাল চোখের তৃপ্তি মেটাতে।সেদিন আকাশে মেঘ ছিলো, গাছে পাখি ছিলো,প্রকৃতিতে শোভা ছিলো, সেই থেকে মেঘ কোনোদিন পিছু ছাড়েনি আমাদের।
তারপর চলে গিয়েছে কতদিন, কতবার তোমার আমার দেখা হয়েছে,কখনো ব্যস্ত রাস্তায়,কখনো গাছের তলায়,কখনো আকাশের নিচে,কখনো ঘাসের বিছানায়।তবু প্রতিদিন আমাদের সাথে বৃষ্টি ছিলো।আকাশে বৃষ্টি, প্রকৃতির নৃত্য।তুমি আমি ভিজে হয়েছি ভেজা কাক,তবুও সে ছিলো।
তোমার আমার সাক্ষী হয়েছিলো বিশাল কৃষ্ণচূড়া গাছ,পিচ ধালা পথ,সবুজ ঘাস,আর কখনো কাঠ ফাটা রোদ।আমাদের অসম উচ্চতার প্রেম লোকে অবাক হয়ে দেখতো,ড্যাব ড্যাবে চোখে তাকিয়ে থাকতো, আর আমরা খুনসুটি করতাম।তোমার চুল এলোমেলো করে আমি নাবালিকা হয়ে যেতাম,সে চুলের মাঝে আঙুল ডুবিয়ে আমি সুখ খুঁজে নিতাম,সে সুখ রাস্তায় মেলে,আকাশের নিচে মেলে,ঘাসের বিছানায় মেলে, দামি রেস্টুরেন্টে মেলে না।
এত সুখ প্রকৃতির পছন্দ হয়নি।তার ইচ্ছেতে সে আমাদের মাঝে নাম না জানা অদৃশ্য এক দেয়াল তুলে দিলো।সে দেয়ালের অপর প্রান্ত থেকে তুমিও আমায় দেখতে পাও,আর আমিও তোমায় দেখি।তবু তোমার চুলের মাঝে আঙুল ডুবিয়ে সুখ খোজার সুযোগ আর হয়নি।
সেই পিচ ধালা রাস্তাটি সেই আগের মতই আছে,আছে সেই কৃষ্ণচূড়া গাছটিও, ঘাসের বিছানা আজও ঘাসেই আচ্ছাদিত। সবই রয়েছে আগের মতই শুধু হয়তো আমরা দুজন নেই।আমরা প্রকৃতির নিষ্ঠুর ছলনায় হারিয়ে গিয়েছি।
আর তুমি হয়তো ছিলে জগতের যাবতীয় নিয়ম না
মানা পাঁড়মাতাল নাবালক। মাতলামো করেই হয়তো আমায় কিনেছিলে।
আমার অদ্ভুত আচরণ তুমি হাসতে,তুমি শিহরিত হতে,তুমি মাতলামো করতে,তুমি উগ্র হতে,দুর্বল হতে,তবু বলতে পারতেনা।মুখ ফুটে বলতে গেলে তোমার উপর ভর করতো রাজ্যের ভয়।সে ভয় পেরিয়ে একদিন আমার রাজ্যের অংশীদারিত্ব চেয়েছিলে,আমি "না" করেছিলাম।আমার রাজ্যে আমি কারো অনুপ্রবেশ মেনে নেইনা।
তবুও এ জগতের মেয়েদের পায়ে একধরনের শেকল বাধা থাকে,মায়ার শেকল।সেই শেকলে আমিও বাধা ছিলাম।আমার জগৎ তোমার সাথে ভাগ করে নিয়েছিলাম।
......তারপর কতদিন হয়েছে...তুমি আমায় তোমার চোখের সামনে জলজান্ত মানবী রূপে দেখোনি! ততদিনে তোমার মাতলামোকে শিকেয় তুলে দিয়েছি।তুমি তখন "ভাজা মাছ উল্টে না খেতে জানা এক নাবালক "।
প্রকৃতির খেলায় একদিন তুমি আমি সামনাসামনি এসেছিলাম।খোলা আকাশের তলে হাজার কপোত-কপোতির ভীরে দুই প্রেম উন্নাসিক দর্শক।তুমি বিশালদেহী,সুপুরুষ। আমি খর্বাকৃত বালিকা।আমাকে চোখ ভরে দেখতে মাথাকে নত করতে হয় তোমার।তবু তুমি দেখেছিলে।হৃদয় ভরে আমায় গ্রাস করেছিলে তোমার মাতাল চোখের তৃপ্তি মেটাতে।সেদিন আকাশে মেঘ ছিলো, গাছে পাখি ছিলো,প্রকৃতিতে শোভা ছিলো, সেই থেকে মেঘ কোনোদিন পিছু ছাড়েনি আমাদের।
তারপর চলে গিয়েছে কতদিন, কতবার তোমার আমার দেখা হয়েছে,কখনো ব্যস্ত রাস্তায়,কখনো গাছের তলায়,কখনো আকাশের নিচে,কখনো ঘাসের বিছানায়।তবু প্রতিদিন আমাদের সাথে বৃষ্টি ছিলো।আকাশে বৃষ্টি, প্রকৃতির নৃত্য।তুমি আমি ভিজে হয়েছি ভেজা কাক,তবুও সে ছিলো।
তোমার আমার সাক্ষী হয়েছিলো বিশাল কৃষ্ণচূড়া গাছ,পিচ ধালা পথ,সবুজ ঘাস,আর কখনো কাঠ ফাটা রোদ।আমাদের অসম উচ্চতার প্রেম লোকে অবাক হয়ে দেখতো,ড্যাব ড্যাবে চোখে তাকিয়ে থাকতো, আর আমরা খুনসুটি করতাম।তোমার চুল এলোমেলো করে আমি নাবালিকা হয়ে যেতাম,সে চুলের মাঝে আঙুল ডুবিয়ে আমি সুখ খুঁজে নিতাম,সে সুখ রাস্তায় মেলে,আকাশের নিচে মেলে,ঘাসের বিছানায় মেলে, দামি রেস্টুরেন্টে মেলে না।
এত সুখ প্রকৃতির পছন্দ হয়নি।তার ইচ্ছেতে সে আমাদের মাঝে নাম না জানা অদৃশ্য এক দেয়াল তুলে দিলো।সে দেয়ালের অপর প্রান্ত থেকে তুমিও আমায় দেখতে পাও,আর আমিও তোমায় দেখি।তবু তোমার চুলের মাঝে আঙুল ডুবিয়ে সুখ খোজার সুযোগ আর হয়নি।
সেই পিচ ধালা রাস্তাটি সেই আগের মতই আছে,আছে সেই কৃষ্ণচূড়া গাছটিও, ঘাসের বিছানা আজও ঘাসেই আচ্ছাদিত। সবই রয়েছে আগের মতই শুধু হয়তো আমরা দুজন নেই।আমরা প্রকৃতির নিষ্ঠুর ছলনায় হারিয়ে গিয়েছি।
Comments
Post a Comment