ব্যর্থতার স্বপ্ন

জোহান নিজের রুমে দরজা লাগিয়ে দরজার সামনেই বসে আছে। দরজা লাগিয়ে দরজার সামনে বসার কারণ দরজা ভেংগে যদি ঢুকে পরে কেউ, তখন সবাই ওর অবস্থা জেনে যাবে। সেই ভয়েই দরজা লাগিয়ে দরজার সামনেই বসে আছে। ছোটবেলা থেকেও শুনে এসেছে ছেলেদের নাকি কাঁদতে মানা, কিন্তু কেনো মানা অনেক বোঝার চেষ্ট করেছিল ও। তখন হয়তো এর অর্থ খুজে পাইনি। কিন্তু এখন জানে ও ছেলেদের কেনো কাঁদতে মানা। আর তাই এতোদিন নীরব আর্তনাদ করে কান্না চেপে গেছে। আজ আর পারেনি সেই আটকে রাখাকে আটকে রাখতে। তাই রুমের দরজা বন্ধ করেই কাঁদছে ও। কোন শব্দ নেই সেই কান্নায় চোখের পানি ফেলার চেষ্টা করছে সেটাও নেই। তবে কি চেপে রাখা কান্না গুলোও মরে হারিয়ে গেছে কোথাও...
জোহানের এখন শ্বাস নিতে কষ্ট হচ্ছে, গলায় কি যেন বারবার আটকে আটকে যাচ্ছে গলা শুকিয়ে। ওর ইচ্ছা করছে এখান থেকে বের হওয়ার কিন্তু মনের বিপরীত পাশ থেকেই আবার কে যেন বলে উঠছে না আজ কেঁদে সব ফেলে দিয়েই বের হতে হবে, সব নতুন করে শুরু করার জন্য হলেও নিজেকে আজ সময় দিতেই হবে। আচ্ছে কেনো জোহান সবার সামনে চিৎকার করে কাঁদতে পারছেনা? ভয়ে নাকি লজ্জায়? সংকোচ টা কিসের? উত্তর খোঁজার চেষ্টা করছে ও। আবার ভাবছে আসলে কেনো কাঁদছে, কেনো এরকম অবস্থা ওর। ও সবার সাথে চলতে পারেনা ,সবার সাথে কথা বলতে পারেনা ,সবার সাথে একসাথে বসে আড্ডা দিতে পারেনা, মিশতে গেলেই নিজের মাঝেই যে একরম অস্বাভাবিকতা কাজ করে এসবের জন্যই কি আজ ওর এই অবস্থা। এরকম হলে ওর দোষটা কোথায়, ও নাহয় চলতে মিশতে পারেনা কিন্তু ওর আশে পাশের যারা আছে ওরাও তো ও কে কখনো সেইভাবে কাছে টেনে নেইনি। দোষ তো তাহলে জোহানের একার না, সবারই আছে। তাহলে ওরা কেনো কাদবেনা, জোহানের কেনো একা কাঁদা লাগবে। তবে কি ওরা মধ্যবিত্ত পরিবারে বেড়ে ওঠা জোহান কে নিজেদের সাথে রাখতেই চায়নি কখনো। এসব প্রশ্ন বারবার মাথায় এসেছে ওর, কিন্তু কাউকে বলতে পারেনি লজ্জায়। কারো সাথে মিশতে না পারা টা লজ্জার কিছু না হয়তো কিন্তু এই কথাগুলা যে কাউকে বলবে আর সে হাসি ঠাট্টা করে ওকে আরো নিচে নামাবে সেই লজ্জা তে আর ভয়েই কাউকে বলতে পারেনি ও। কষ্ট গুলো নিজের মাঝেই জমিয়ে রেখে দিয়েছে, তিলে তিলে বড় করে তোলা কষ্ট গুলোই আজকে ওকে কাঁদতে বাধ্য করাচ্ছে। কিন্তু লজ্জায় কারো সাথে না পারবে এগুলো বলতে আর ভয়ে না পারছে এখন সে কাঁদতে। ছেলেদের কাঁদতে মানা... আচ্ছা আসলেই কি তাই? আসলেই কি ছেলেরা কখনো কাদেইনি। জোহানের বাবাকে সে কখনো কারো সামনে কাঁদতে দেখেনি, কিংবা ওর কোন বন্ধু কিংবা আত্মীয়দের ও না। শুধু কেউ মারা গেলে তখন দেখেছে, কিন্তু সেটাও তো ভিন্ন জিনিস। তবে এই পৃথিবী তে জোহান ই একমাত্র যে কাঁদছে রুমের দরজা লাগিয়ে। নিজের মাঝে চেপে থাকা ভয়টা আরো চেপে বসে ওর। এখন আসলে কি করা উচিত ওর। কাউকে গিয়ে কি সাহস করে বলেই দিবে ওর সমস্যা গুলোর কথা। এই পৃথিবী বরই বৈচিত্রময় লেগেছে জোহানের কাছে প্রতিটা মুহূর্তে প্রতিটা পদক্ষেপে। বারবার ব্যর্থতার কাছে পরাজিত হতে হতে আত্মবিশ্বাসটুকুও হারিয়ে ফেলেছে আজ। কখনোই নিজের ইচ্ছার দাম পায়নি কোথাও একটুখানি, তবুও সবার সাথে বাঁচতে চেয়েছে বারবার, কিন্তু কেউ ওকে বোঝেনি ... কেউ ওকে কাছেও টেনে নেয়নি ......
রাত শেষ হয়ে ভোর হয়ে আসছে। আরেকটু পরেই সবাই জেগে যাবে। তখন আর ওর এইভাবে থাকা যাবেনা। বাসায় টের পেলে রিটার্ট করা বাবা জোহানের মা সহ সবাইকে যচ্ছে তাই বলে বকা শুরু করবে। এগুলোও ওর আর সহ্য হচ্ছেনা। চট করে একটা সিদ্ধান্তে আসতেই হবে ও কে। লাল চোখ নিয়ে বাথরুমের দিকে যায় ও। আয়নায় নিজেকে চিনতে কষ্ট হয়, কান্না ত করতে পারেনাই ঠিকমতো আর তাতেই এই অবস্থা হয়েছে ওর কাঁদলে না জানি কি হতো। ভালো করে হাত মুখে ধুয়ে এসে আবার নিজের রুমে ঢুকে দরজা আটকিয়ে দেয়।
সকাল ৫ঃ৩০ টার দিকে দরজা খোলে বের হয় জোহান। ড্রয়িং রুমে তার বৃদ্ধ রিটার্ড করা বাবা উচ্চস্বরে কোরআন শরীফ পাঠ করছেন। জোহান যে বের হয়েছে সেই দিকে হয়তো নজর যায়নি। জোহানের মা অন্যান্ন ব্যস্ত দিনের মতই রান্না ঘরে সকাল বেলার নাস্তা রেডি করতে ব্যস্ত। পরিবারে জোহান বড় ছেলে ভার্সিটি তে পড়ালেখা করছে আর ছোট বোন এবার ইন্টারমেডিয়েট পরীক্ষা দিচ্ছে। জোহানের বোন জোহা ও তার রুমে পড়তে বসে গিয়েছে। কারো জোহানের প্রতি কোন নজর ই নেই। জোহান সব দেখে এক গ্লাস পানি খেয়ে হাতে একটা পলিথিনের ব্যাগ নিয়ে রাস্তায় বের হয়। এখনো রাস্তায় তেমন কোন মানুষজনের কোলাহল শুরু হয়নি। দুই একটা খেটে খাওয়া দিন মজুর মাথায় ঝোলা আর মুখে কমদামি বিড়ির ধোয়া নিয়ে হাসতে হাসতে কাজ খোঁজতে যাচ্ছে হয়তো। সামনে এক ৬-৭ বয়সি এক বালক কে সবজির ভ্যান চালাতে দেখলো। পিছনে তার বাবাও রয়েছে সাথে। এই দৃশ্য দেখা এই শহরের মানুষের কাছে কোন আশ্চর্যের কিছু নেই। ক্ষুদার তাগিদে ছোট ছেলেকে নিয়েই হয়তো কাজে নেমে পরেছে তার বৃদ্ধ বাবা। কিন্তু পরের দৃশ্যের জন্য প্রস্তুত ছিলনা জোহান যখন বাবা তার মুখের সিগেরেট টি আনন্দের সাথে তার ৬-৭ বয়সি ছেলেকে টানতে দেয় আর ছেলেও মনের সুখে সিগেরেট টানতে টানতে ভ্যান নিয়ে এগোতে থাকে। এগুলো দেখতে দেখতে জোহানের একসময় মনে হয় ওর জীবনটাও তো এরকম হতে পারতো। ঐ বাচ্চা ছেলের জীবনে হাসি ভরা সুখ আছে আবার ক্ষুদারা জ্বালার কষ্টও আছে। তবুও তো সবার সাথে ভালোই জীবন পার করছে সে। এসব ভাবতে ভাবতেই একসময় জোহান ওর গন্তব্যে পৌছে যায়। আমীন বাজার ব্রীজে এখনো তেমন গাড়ি চলাচল শুরু হয়নি। হাতের কাঁচ ভাংগা ঘড়ি দেখলো ৬টা ৩ বাজে। যা করার এখনি করা লাগবে ওর। নিজের মনের ভেতর আবারো একরকম ভয় আর লজ্জা লাগা শুরু করে দিয়েছে । যদি সে আবারো ব্যর্থ হয়। তাহলে সেই লজ্জা হবে চির দিনের। সবার কাছে অপমানিত হয়ে বেঁচে থাকা লাগবে বাকিটা সময়। আর যদি সে এইবার ব্যর্থতাকে হারাতে পারে তাহলে চির মুক্তি পাবে। ব্রিজের রেলিং এর উপর গিয়ে বসলো আশে পাশে ভালোভাবে তাকিয়ে দেখছে কেউ ওর দিকে তাকিয়ে আছে কিনা। কিন্তু কাউকেই ওর দিকে তাকিয়ে থাকতে দেখলো না, সবায় সবার মত ব্যস্ত হয়ে রয়েছে। ব্রিজের উপর একটা কুকুর ওর একটু পাশে দাঁড়িয়ে প্রস্রাব করার জন্য হয়তো থেমেছিল কিন্তু তখনি একটা ছোট পিকাপ পাশ দিয়ে যাওয়ার সময় হর্ণের শব্দে ভয় পেয়ে দৌড়ে পালায়। যে একমাত্র সাক্ষী ছিলো জোহানের সেটিও চলে গেল। এখন রাস্তা ফাকা, দূর থেকে শুধু গাড়ি চলার আওয়াজ কানে নারা দিচ্ছে। পলিথিনের ব্যাগ থেকে তার পুরোনো ডায়রিটা বের করে। এই ডায়রিটাই ছিল জোহানের একমাত্র বন্ধু যার সাথে সে দিন রাত তার সব কথা শেয়ার করতো। কিন্তু আজ এর আর দরকার নেই জোহানের, সাহস করে যখন নতুন কিছু একটা করার চিন্তা করেই ফেলেছে তখন একে সাথে নিয়ে আর কষ্ট বারানোর দরকার নেই। কি হস্যকর চিন্তা ভাবনা মাথায় ঘুড়ছে ওর। আচ্ছা জড় পদার্থের কি জীবন আছে নাকি যে তাদের সুখ দুঃখ কষ্ট ভালোবাসার অনুভূতি থাকবে। তারপর নিজের অজান্তেই মুখ ফুটে হেসে দেয়। হাসতে হাসতেই ডায়রিটা ব্রিজের নিচে কালো পানিতে ফেলে দেয় ও। আসলে তার জীবনের লেখাগুলা কাউকে পড়তে দিতে চায়না ও, কেউ দেখে যদি ওকে পাগল ভাববে সেটা হতে দিতে চায়না ও। ডায়রিটা পরতে পরতে এক সময় পানিতে পরে শব্দ করে নিচে তলিয়ে হারিয়ে যায়। এই দৃশ্য মাথায় বারবার আঘাত করতে থাকে ওর। জোহান ও তো একটু পরেই এভাবে হারিয়ে যাবে, সাঁতার শেখা হয়নি কখনো যে সাঁতরে পারে উঠবে। কিন্তু কেউ যদি দেখে ফেলে ওকে সেও পানিতে ঝাপ দিয়ে তুলে আনে বাঁচিয়ে তোলার চেষ্টা করে তখন। বারবার পানিতে পরার আওয়াজ টা জোহানের কানে বাজতে থাকে। এখনো অনিশ্চিত কি করবে। মাথার ভেতর আস্তে আস্তে ওর সেই ছোট বেলার স্মৃতিগুলো ভেসে আসছে এখন। জীবনের সকল প্রাপ্তি পরাজয় সুখ আর ব্যর্থতার মুহূর্তগুলো মনে পরে যাচ্ছে ওর। চেনা জানা সবার মুখের ছবিও দেখতে পাচ্ছে এখন চোখ বন্ধ করে। সকালের সেই ছোট ৬-৭ বছরের বালকের হাসিমাখা আনন্দের মুখটাও ভেসে এলো সামনে। তারপর হটাত করেই এক নিস্তব্ধতা। প্রকৃতি যেনো জোহান কে সময় ও অবস্থা থেকে আলাদা করে দিয়েছে ...... তারপর ......
সকাল ৮টা। সব দোকান পাট খোলে গেছে, সবাই যার যার কাজে যেতে শুরু করেছে। ব্যস্ত স্টেশনারির দোকানদার খাতা কলম বেচতে ব্যস্ত থাকে আর দোকানের ছোট একমাত্র কর্মচারী দোকানদারের গ্রামের ছেলেটি আরেক পাশে দৈনিক পত্রিকা নিয়ে বসে থাকে। অফিসে যাওয়া মানুষ গুলই তার প্রধান কাস্টমার। মাঝে মাঝে বেকার যুবক রাও আসে চাকুরীর খোজ পাওয়ার আশায় পেপার দেখতে। ছেলেটি সহজ সরল ভাবেই তাদের পেপার পড়তে দেয়, কেউ কেউ আবার কিনেও নিয়ে যায়। আজ তার ব্যতিক্রম হলো না। তবে আজকে সকালে তার চেনা এক বুড়ো আর এক যুবক কে সে বাকী তে পেপার দিয়েছে। যদিও জানে সময় মত তারা টাকা পরিশোধ করবে ঠিকিই তারপরেও মালিকের কাছে হিসাব দেওয়ার ভয়ে কেমন যানো আনমনা হয়ে বসে থাকে। আর এভাবেই ব্যস্ত শহরের ব্যস্ত জীবগুলো যেনো প্রতিদিন সজাগ হয়ে উঠে নগরীকে প্রাণ দেওয়ার জন্য। জোহা কে নিয়ে জোহার বাবা পরীক্ষা দিতে বের হয়ে গেছে একটু আগেই। জোহানের মা মেইন দরজা বন্ধ করে এসে বারান্দা দিয়ে নিচে তাকিয়ে থাকে। জোহা আর জোহার বাবা রিকশা নিয়ে অনেক দূরে চলে গেছে। আবছা আবছা চেনা মাথাগুলা দেখতে পান উনি। তারপর ঘরের দিকে মুখ ফিরিয়ে আসার সময় দেখতে পান একটা মরা কাক ঝুলচে সামনে কারেন্টের খুটির সাথে। কিজানি মনের মধ্যেই চমকে উঠে ভয়ে কুঁকড়ে যান। পিঠ দিয়ে একটা শীতল অনুভূতি কাজ করে উনার। বয়স হয়েছে অনেক। আয়াতুল কুরছি পাঠ করতে করেত ঘরে ঢুকেন। কিন্তু মনের মধ্যে ভয় থেকেই যায়। ছেলের ঘরে ছেলেকে দেখতে যায়, কেমন যেনো একা একা ভয় ভয় লাগতে শুরু করে। জোহানের রুমে ঢুকে জোহানের রুম খালি দেখে আরো ঘাবরে যান তিনি। জোহান এতো সকালে কখনোই বের হয়না নরমালি। ভার্সিটিও নাকি বন্ধ দিয়েছে নাকি সেখানেই গেছে কে জানে। পুরো বাড়িতে একা ভেবে যেনো ভয়টা আরো চেপে বসে জোহানের মায়ের। কেনো দুশ্চিন্তা হচ্ছে কিসের ভয়ে নিজেও বুঝতে পারছেন না তিনি। ঠিক করলেন নফল নামাজ পরে মন শান্ত করবেন। ওযু করার সময়ও ঠিকমত মন বসাতে পারলেন না, মৃত কাকের ঝুলন্ত দৃশ্য বারবার মনের মধ্যে বিরক্ত করছে তাকে। নিজের রুমে জায়নামাজ বিছিয়ে দুই রাকাত নফল নামাজ শেষ করে মন কে একটূ শান্ত করলেন। তারপর মোনাজাত ধরে পরিবারে জন্য দোয়া করলেন, তার ছোট মেয়ে পরীক্ষা দিতে গেছে তার জন্য দোয়া করলেন। বড় ছেলের কয়দিন রেসাল্ট বের হবে তার জন্যও দোয়া করে মোনাজাত শেষ করে উঠতে যাবেন তখন বেলের আওয়াজ এ আবার চমকে গেলেন জোহানের মা। এরকম সময়ে বাসায় আসার কথা না। জোহার বাবা জোহা কে একবারে পরীক্ষা শেষ করে নিয়ে আসে, আর জোহান ভার্সিটি গেলে দুপুরের আগে আসার কথা না। ভাবতে ভাবতেই দরজা খুলে দিলেন। দেখে অবাক হলেন শুকিয়ে পরা চোখ লাল হয়ে যাওয়া জোহান পেপার হাতে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখে। ভেতরে ঢুকে হাঁটতে বের হইছিলাম মা রাতে ঘুম হয়নাই ঘুমাবো এখন বলে জোহান নিজের রুমে চলে যায়। জোহানের মা আর তাকে কিছু বলে না। জিজ্ঞেস করে অথবা বলে কিছু হবেও না জানেন তিনি। ছোট বেলা থেকেও জোহান চাপা স্বভাবের। নিজের কিছু হলেও কখনো কারো সাথে শেয়ার করেনি। আজো করবেনা। জোহানের মা রান্না ঘরে নিজের কাজ করতে চলে গেলেন। আসায় একা না ভেবে এখন একটু স্বস্তিবোধ হচ্ছে উনার। নিজের রূমে গিয়ে পেপার টা পড়ার টেবিলের উপর রেখে বালিশে মাথা গুজে দিয়ে ঘুমানোর চেষ্টা করে। দোকানদারের কাছে দশ টাকা বাকী করে এসেছে বিকেলে যেয়ে দিয়ে আসতে হবে। সকালে টাকা না নিয়েই বের হয়ে গেছিল সে, যার জন্য গিয়েছিল সেটা করতে তো টাকা লাগেনা। তো পেপার কিনতে টাকা কই পাবে। পেপার কেনো এনেছে সে নিজেও জানেনা। শুধু জানে আবার সে ব্যর্থতার কাছে পরাজীত হয়েছে। ব্যর্থতা তাকে হারিয়ে বাসায় পাঠিয়ে দিয়েছে। এগুলো ভাবতে ভাবতেই ঘুমিয়ে পরে জোহান। মাথার উপর পাখা চলতে থাকে। জোহানের মা এসে জোহানের উপর কাঁথা দিয়ে চলে যায়। আর জোহান মরার মত ঘুমিয়ে সকাল বেলার স্বপ্ন দেখতে থাকে। কি সেই স্বপ্ন তা কেউ জানেনা জানতেও পারেনা। হয়তো আরেকটি ব্যর্থতার স্বপ্ন ......... :)
মুহাম্মদ কায়েস আব্দুল্লাহ
০৫-নভেম্বর-২০১৬

Comments