যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সামরিক সহযোগিতা চুক্তি
যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সামরিক সহযোগিতা চুক্তি সময় নিয়ে করতে চায় বাংলাদেশ
ভবিষ্যতে অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে যেকোনও ধরনের সামরিক সহযোগিতা চুক্তি সময় নিয়ে করতে চায় সরকার। যুক্তরাষ্ট্র এখন পর্যন্ত দুটি সামরিক সহযোগিতা চুক্তি করার প্রস্তাব দিয়েছে। চুক্তি দুটি হচ্ছে– অ্যাকুইজিশন অ্যান্ড লজিস্টিক এগ্রিমেন্ট (আকসা) এবং জেনারেল সিকিউরিটি অফ মিলিটারি ইনফরমেশন এগ্রিমেন্ট (জিসমিয়া)। দুটি চুক্তিরই প্রাথমিক খসড়া যুক্তরাষ্ট্র সরবরাহ করেছে। তবে বিষয়টি এখনও সরকারের বিবেচনাধীন আছে।
এ বিষয়ে একজন কর্মকর্তা বলেন, ‘প্রতিরক্ষা সহযোগিতা সংক্রান্ত যেকোনো ধরনের চুক্তি অত্যন্ত স্পর্শকাতর। এটি করার আগে অনেক কিছু বিবেচনা করতে হয়। লাভ-ক্ষতি মূল্যায়নের আগে দুই দেশের রাজনৈতিক পর্যায়ে একে অপরের প্রতি আস্থা ও বিশ্বাস অত্যন্ত প্রয়োজন।’
আস্থা ও বিশ্বাস
যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে দক্ষিণ এশিয়ার একাধিক দেশসহ পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের এ ধরনের চুক্তি থাকলেও বাংলাদেশ এ বিষয়ে সাবধানে অগ্রসর হচ্ছে। এ প্রসঙ্গে আরেকজন কর্মকর্তা বলেন, ‘ভারত ১০ বছরের অধিক সময় ধরে আলোচনার পরে এ ধরনের চুক্তি সই করেছে।’
যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে পাকিস্তানের প্রতিরক্ষা এবং শ্রীলঙ্কার সঙ্গে অ্যাকুইজিশন অ্যান্ড লজিস্টিক এগ্রিমেন্ট চুক্তি আছে বলে জানান তিনি। তিনি বলেন, ‘কলম্বোতে এপ্রিলে বোমা হামলার পরে এই চুক্তির অধীনে যুক্তরাষ্ট্র কী ধরনের সহযোগিতার পদক্ষেপ নিয়েছে সেটিও আমরা বিবেচনায় নিচ্ছি।’
ভবিষ্যতে অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে যেকোনও ধরনের সামরিক সহযোগিতা চুক্তি সময় নিয়ে করতে চায় সরকার। যুক্তরাষ্ট্র এখন পর্যন্ত দুটি সামরিক সহযোগিতা চুক্তি করার প্রস্তাব দিয়েছে। চুক্তি দুটি হচ্ছে– অ্যাকুইজিশন অ্যান্ড লজিস্টিক এগ্রিমেন্ট (আকসা) এবং জেনারেল সিকিউরিটি অফ মিলিটারি ইনফরমেশন এগ্রিমেন্ট (জিসমিয়া)। দুটি চুক্তিরই প্রাথমিক খসড়া যুক্তরাষ্ট্র সরবরাহ করেছে। তবে বিষয়টি এখনও সরকারের বিবেচনাধীন আছে।
এ বিষয়ে একজন কর্মকর্তা বলেন, ‘প্রতিরক্ষা সহযোগিতা সংক্রান্ত যেকোনো ধরনের চুক্তি অত্যন্ত স্পর্শকাতর। এটি করার আগে অনেক কিছু বিবেচনা করতে হয়। লাভ-ক্ষতি মূল্যায়নের আগে দুই দেশের রাজনৈতিক পর্যায়ে একে অপরের প্রতি আস্থা ও বিশ্বাস অত্যন্ত প্রয়োজন।’
আস্থা ও বিশ্বাস
যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে দক্ষিণ এশিয়ার একাধিক দেশসহ পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের এ ধরনের চুক্তি থাকলেও বাংলাদেশ এ বিষয়ে সাবধানে অগ্রসর হচ্ছে। এ প্রসঙ্গে আরেকজন কর্মকর্তা বলেন, ‘ভারত ১০ বছরের অধিক সময় ধরে আলোচনার পরে এ ধরনের চুক্তি সই করেছে।’
যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে পাকিস্তানের প্রতিরক্ষা এবং শ্রীলঙ্কার সঙ্গে অ্যাকুইজিশন অ্যান্ড লজিস্টিক এগ্রিমেন্ট চুক্তি আছে বলে জানান তিনি। তিনি বলেন, ‘কলম্বোতে এপ্রিলে বোমা হামলার পরে এই চুক্তির অধীনে যুক্তরাষ্ট্র কী ধরনের সহযোগিতার পদক্ষেপ নিয়েছে সেটিও আমরা বিবেচনায় নিচ্ছি।’
বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালী দেশের সঙ্গে প্রতিরক্ষা সংক্রান্ত চুক্তি করার আগে আস্থার জায়গাটি মজবুত করার দরকার আছে বলে মনে করেন এই কর্মকর্তা। তিনি বলেন, ‘রাশিয়ার কাছ থেকে অনেক দাম দিয়ে অস্ত্র কেনা হচ্ছে। সেখানে আস্থার জায়গাটি আছে। এ ধরনের আস্থার জায়গা তৈরির জন্য রাজনৈতিক নেতৃত্বের মধ্যে বোঝাপড়া অত্যন্ত জরুরি।’
প্রসঙ্গত, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০১৩ সালে দ্বিপক্ষীয় সফরে রাশিয়া গিয়েছিলেন। তখন ১০০ কোটি ডলারের সামরিক সরঞ্জাম কেনার চুক্তি হয়েছিল দুই দেশের মধ্যে।
চুক্তির বিষয় বস্তু
আকসা চুক্তি দুই দেশের মধ্যে লজিস্টিক সহযোগিতা প্রদানের চুক্তি। এই চুক্তির মূল প্রতিপাদ্য হচ্ছে, এক দেশ অন্য দেশকে অর্থের বিনিময়ে যুদ্ধক্ষেত্রে ব্যবহার হবে না এমন বিভিন্ন ধরনের লজিস্টক সেবা প্রদান করবে। উদাহরণ হিসাবে বলা যায়, যুক্তরাষ্ট্রের একটি যুদ্ধজাহাজ বা যুদ্ধবিমান ত্রাণ সহায়তা নিয়ে আরেকটি দেশে যাওয়ার সময় বাংলাদেশ থেকে জ্বালানি তেল বা অন্যান্য রসদ সংগ্রহ করতে পারবে এই চুক্তির অধীনে।
এ বিষয়ে আরেকজন কর্মকর্তা বলেন, ‘আপাতদৃষ্টিতে এটিকে নিরীহ চুক্তি মনে হলেও এখানে লাভ-ক্ষতি বিবেচনা এবং বাংলাদেশের এই চুক্তি করার প্রয়োজনীয়তার বিষয়টি বিবেচনা করা দরকার।’ এই চুক্তিতে যুক্তরাষ্ট্র বেশি লাভবান হবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘এই চুক্তির অধীনে সেবা যুক্তরাষ্ট্র বেশি গ্রহণ করবে। কারণ তার প্রতিরক্ষা কার্যক্রম অনেক বড়। অন্যদিকে, এই চুক্তির অধীনে বাংলাদেশের সেবা নেওয়ার সুযোগ কম।’ অন্যান্য রাজনৈতিক বিবেচনা না থাকলে এবং শুধুমাত্র আকসা চুক্তির বিষয়বস্তু বিবেচনা করলে, বাংলাদেশের এই চুক্তি করার আগ্রহের জায়গা কম বলে জানান তিনি।
জিসমিয়া চুক্তির ক্ষেত্রে আরেকজন কর্মকর্তা বলেন, ‘এক্ষেত্রে বাংলাদেশের দর কষাকষির সুযোগ কম। কারণ, এটি একটি স্ট্যান্ডার্ড চুক্তি।’
যুক্তরাষ্ট্র থেকে অত্যাধুনিক প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম কিনলে এর সঙ্গে জড়িত কোনও প্রযুক্তি বাংলাদেশ তৃতীয় কোনও দেশের কাছে প্রকাশ করবে না, এটি এ চুক্তির মূল বিষয়।
ওই কর্মকর্তা আরও বলেন, ‘জিসমিয়া চুক্তি না করে যুক্তরাষ্ট্র থেকে দামি অস্ত্র কিনতে পারবে না বাংলাদেশ। সরকার যদি উচ্চ প্রযুক্তির অস্ত্র ক্রয় করার সিদ্ধান্ত নেয় তবে যুক্তরাষ্ট্রের শর্তেই সেটি কিনতে হবে।’
Comments
Post a Comment